নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর ১১নং ওর্য়াড স্টিডিয়াম কলোনীতে গৃহবধূর লাশ নিয়ে ধ্র“মজাল। কেউ বলছে আত্মহত্যা আবার কেউ বলছে হত্যা। এমনটি শোনা যাচ্ছে ওই কলোনীর বাসিন্দাদের মুখে। জানা যায়,স্টিডিয়াম কলোনীর স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া রিক্সা চালিয়ে ৩মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে জীবনযাপন করতেন। দিন মঞ্জুর শাহজাহানে সংসারের ছেলে,মেয়েদের লেখাপড়া খরচসহ যাবতীয় খরচের একমাত্র ভরসা রিক্সা। তাই অভাবের সংসারে মেয়ে সাথির লেখাপড়া বন্ধ করে দেয় নি তিনি। তবে তার আশা ছিলো মেয়ে লেখাপড়া করে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। কিন্তু সাথির মা,বাবার আর স্বপ্ন পূরন হলো না।মেয়েকে শোয়াতে হলো চার পায়ায় খাটিয়ায়। সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, মৃত সাথি আক্তার (১৮)গত ১৬ই ডিসেম্বর দুপুর ১টার দিকে গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করেন । পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শেবাচিমে ভর্তি করলে কত্যর্বরত চিকিৎসক সাথিকে মৃত ঘোষনা করেন বলে জানা যায়,। সাথি আক্তার বরিশালের কোন এক কলেজের ২য় বর্ষে ছাত্রী ছিলেন। এদিকে সাথির মৃত্যু নিয়ে ওই কলোনীতে এক রহস্যর ধ্র“মজাল সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কলোনীর একাধীক বাসিন্দা জানায়, সাথির সাথে গত ৭/৮মাস আগে একই কলোনীর বাসিন্দা আঃরশিদ পালোয়ান এর ছেলে আরিফ(২০) সাথে প্রামের সম্পক গড়ে ওঠে। তার ২/৩মাস পরে আরিফ ও সাথি পালিয়ে বিয়ে করেন এবং তারা ২মাস সংসার করেন। পরে তারা পরিবারের কাছে ফিরে আসেন। কিন্ত রিক্সা চালক শাহজাহান তাদের মেনে নিলেও রশিদ পালোয়ান সাথিকে মানতে নারাজ। এনিয়ে রশিদ পালোয়ানের সাথে সাথির পরিবারের একাধীক বার ঝামেলা হয়। তবে সরজমিনে মৃতঃ সাথির বা তার শশুর বাড়ির পরিবারের কোন সদস্যদের খুজেঁ পাওয়া যায়নি। একটি সূত্রে জানা যায়,১৬ই ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে আরিফ বিয়ের কাবিনের কাগজ আনতে সাথির বাসায় যায়। পরে সাথির বোন সুখি কে আরিফ বলেন তোমরা বাহিরে যাও তোমার বোনের সাথে আমার কথা আছে। তবে আরিফ বাসায় যাওয়ার আগে দুই বোনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আরিফ বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় দেখতে পায় সাথি গলায় ওড়ানা দিয়ে বসত ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। তবে স্থানীয়রা এ বিষয় কথা বলতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করেন। অপর দিকে স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন,সত্য কথা বল্লে আমাদের এখানে থাকতে দিবে না। আমরা কিছুই জানি না। তবে সাথি কি আত্মহত্যা করছে? না কি তাকে হত্যা করা হয়েছে। এমনটি প্রশ্ন ওই কলোনীর বাসিন্দাদের। এদিকে সাথির মৃত্যুর খবর শুনে আরিফ ও তার বাবা রশিদ পালোয়ান পরিবার নিয়ে গাঁ ডাকা দিয়েছে। এ বিষয় কোতয়ালী মডেল থানার এস আই মামুন জানায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ ময়না তদন্ত করে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রির্পোট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলতে পারবো না এটা হত্যা না আত্মহত্যা। এ বিষয় মৃত সাথির বাবার সাথে মুঠো ফোনে ০১৭৩৮৯৩..২০ একাধীক বার যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply